প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে জাতীয় যুব সংহতির ভোলা জেলা শাখার নতুন কমিটি। ঘোষণা আসতে পারে যেকোনো সময়। নতুন কমিটির সভাপতি বা সেক্রেটারি ঠিক কে হচ্ছেন- তা এখনও নিশ্চিত জানা যায়নি। কারণ, কমিটির চূড়ান্ত তালিকাটি এখন বিজেপির চেয়ারম্যান আব্দালিভ রহমান পার্থ’র হাতে। শেষ পর্যন্ত তিনি যাদেরকে মনোনয়ন দেবেন তারাই হবেন ভোলা জেলা যুব সংহতির আগামী দিনের নেতৃত্বের কাণ্ডারী।
বিজেপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলে গতিশীলতা আনতে ইতিপূর্বে, বিলুপ্ত’ কমিটিগুলোর স্থানে নতুন কমিটি অনুমোদনের প্রতি সাংগঠনিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। যুবসংহতি’র নতুন কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারি সহ নতুন নেতৃত্বে কারা হতে পারে, তা নিয়ে গত কিছুদিন ধরে চূড়ান্তভাবে দলের সিনিয়র নেতা ও ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে মতামত নিয়েছেন বিজেপির চেয়ারম্যান -আন্দালিভ রহমান। বিগত দিনে যারা ক্ষমতাসীনদের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে আন্দোলন সংগ্রামে সর্বাত্মকভাবে মাঠে ছিলেন এমন নেতাদেরকেই বেছে নিচ্ছেন দলের চেয়ারম্যান পার্থ’। খুব শিগগিরই যে নতুন কমিটির ঘোষণা আসছে এটি প্রায় নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। নির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ ঠিক না’হলেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিজেপির অন্যতম সহযোগী সংগঠন ‘জাতীয় যুব সংহতির’ ভোলা জেলা শাখার নতুন নেতৃত্বের ঘোষণা আসবে বলে সংগঠনটির একাধিক নেতা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
জাতীয় যুব সংহতির ভোলা জেলা শাখার নতুন কমিটিতে পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় আছেন যারা- বিলুপ্ত কমিটির সাবেক আহবায়ক নূরে আলম সিদ্দিকি টিটু, সাবেক জেলা ছাত্র সমাজ নেতা মো: আনোয়ার হোসেন, মাঈনুল মিঝি, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো: মাকসুদ, মো: আবু তাহের, মীর শাওন, মো: সোহাগ (মাঝি) ও ইসমাইল হোসেন আরিফ’ সহ প্রমুখ। তরুণদের দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের চিন্তাভাবনা রয়েছে বিজেপি চেয়ারম্যানের। যুবসংহতির বর্তমান ও দলের সাবেক ছাত্র নেতাদের সংমিশ্রনে সংগঠন গতিশীল ও সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হবে এমন একটি নতুন কমিটি ঘোষণার অপেক্ষায় ভোলা জেলা যুবসংহতির নেতাকর্মীরা। বিজেপির চেয়ারম্যানের নীতিনির্ধারণী মহল সূত্রে জানা যায়, নবগঠিত কমিটির নেতৃত্বে একঝাঁক নতুন মুখ হিসেবে দলের পরিশ্রমী ও মেধাবীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এছারাও দলের ত্যাগীরা নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা আছে’ এমন মনোভাব জেনে ভোলা যুবসংহতির রাজনীতিতে সক্রিয় সিনিয়র নেতারাও কমিটিতে পদ পেতে শেষ মুহূর্তে তৎপর হয়ে উঠেছেন। নেতৃত্বে আসতে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে ভোলার ওয়ার্ড, ইউনিয়নগুলোতে দলীয় ফোরামে ‘সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি ও শোডাউন করছে যুব সংহতি’র পদ প্রত্যাশী নেতৃবৃন্দরা’সহ দল বিজেপির অন্যন্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও।
যুবসংহতি’র নতুন কমিটি ঘোষণা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, জাতীয় ছাত্র সমাজের ভোলা জেলা শাখার সাবেক ‘সদস্য সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, দলের সাংগঠনিক পুনর্গঠন এটা যেকোন রাজনৈতিক দলের চলমান প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে যুব সংহতির নতুন কমিটি গঠনে দলের মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়ের যেকোন সিদ্ধান্তের উপর শতভাগ আস্থা রাখেন বলে জানান তিনি। সাবেক এই ছাত্র নেতা যুব সংহতির আসন্ন ভোলা জেলা শাখার নতুন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে পারে বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে।
জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক নেতা মীর শাওন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি -বিজেপি’ একটি আদর্শিক দল। আর ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ’ আমাদের আদর্শ। ১০ হাজার মাইল দূরে থাকলেও তিনি নেতাদের অতীত ত্যাগ, সামাজিক অবস্থান এবং নিজস্ব বলয়কে প্রাধান্য দিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে সমন্বয় করেই নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ করেন । তিনি বলেন, এ নিয়ে কোনো বিরোধ নেই, থাকতে পারে না। জাতীয় যুব সংহতির ভোলা জেলা শাখায় মাননীয় চেয়ারম্যান যাদের নতুন নেতৃত্বে রাখবেন বলে সিদ্ধান্ত নেবেন, তার সিদ্ধান্ত-ই আমাদের কাছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
You cannot copy content of this page